আজকাল ওয়েবডেস্ক: তাঁর সোনালী গোলেই ১৯৯৭ সালে মণিপুরকে হারিয়ে মহিলাদের জাতীয় ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলা। 

দুটো পা সমানে চলত। ক্লাব পর্যায়েও সাফল্য রয়েছে। কিন্তু তিনি পুরুষ না মহিলা সেই বিতর্কে আটকে ফুটবলজীবনটাই শেষ হয়ে গিয়েছিল চিরকালের মতো।  সেদিনের বন্দনা পাল আজকের বনি। 

একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে লোন নেওয়া টাকা শোধ করতে না পারার অভিযোগে রবিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় সেই প্রাক্তন ফুটবলারকে। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে উঠবে মামলা। 

বন্দনার দিদি শঙ্করী পাল আজকাল ডট ইন-কে বলেন, ''রবিবার রাতে বনিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। চাকরি নেই। সহায় সম্বলহীন অবস্থা। যতদিন চাকরি ছিল কিছু টাকা শোধ করেছে। কিন্তু এখন ও নিজেও অসুস্থ। চাকরিও নেই। কী যে করব!'' 

১৯৯৪-২০০০, এই ছ'বছরের ফুটবল জীবন তাঁর। ফুটবল থেকে ছিটকে যাওয়ার পর ২০০৭ সালে লিঙ্গ পরিবর্তন করে  বন্দনা হয়ে যান বনি। বিয়ে করেন। সমালোচনার ঝড় ধেয়ে আসে। দূরত্ব বাড়ে বাড়ির সঙ্গে। চলে যান শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায়। সেখানে প্রতিমা তৈরির কাজ করতেন। 

পরে ফিরে আসেন গোবরডাঙায়। সেই বন্দনা ওরফে বনিকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ।